শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) ১৮ই জুন, ২০২১

জুমুআর খুতবার সারাংশ

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৮ই জুন, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)’র স্মৃতিচারণ করেন।

তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, আজকাল হযরত উমর (রা.)’র স্মৃতিচারণ করা হচ্ছে। হুযূর (আই.) হযরত আবু বকর (রা.)’র মৃত্যুর পূর্বে হযরত উমর (রা.)-কে খলীফা মনোনীত করা এবং এ বিষয়ে লিখিত ওসীয়্যত করা সম্পর্কিত বেশ কিছু ঘটনা উদ্ধৃত করেন। পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ এসব বর্ণনা থেকে জানা যায়, যখন হযরত আবু বকর (রা.)’র মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে তখন তিনি (রা.) পালা করে হযরত আব্দুর রহমান বিন অওফ (রা.), হযরত উসমান (রা.), হযরত আলী (রা.) প্রমুখ সাহাবীদের ডেকে হযরত উমর (রা.) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন যে, ব্যক্তি হিসেবে তারা তাকে কেমন মনে করেন; কোন কোন বর্ণনায় একদল মুহাজির ও আনসারেরও উল্লেখ রয়েছে। হযরত আব্দুর রহমান (রা.) বলেছিলেন, হযরত উমর (রা.) কোন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে হযরত আবু বকর (রা.)’র চেয়েও উত্তম, কিন্তু তার প্রকৃতি কিছুটা কঠোর। হযরত আবু বকর (রা.) বলেছিলেন, তিনি আমার মাঝে বেশি নম্রতা দেখতে পান বলে কঠোরতা প্রদর্শন করেন, যেন সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষেত্রে বা বিচার-আচারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় থাকে; কিন্তু যখন খিলাফতের দায়িত্ব তার স্কন্ধে অর্পিত হবে তখন তিনি এরূপ কঠোর থাকবেন না। হযরত উমর (রা.) সম্পর্কে অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে হযরত উসমান (রা.) বলেছিলেন, তার ভেতরের অবস্থা তার বাইরের অবস্থার চেয়েও উত্তম এবং অবশিষ্ট সাহাবীদের মধ্যে তার সমকক্ষ কেউ নেই। পরবর্তীতে হযরত আবু বকর (রা.) হযরত উসমান (রা.)-কে দিয়ে হযরত উমর (রা.)’র খিলাফতের বিষয়ে ওসীয়্যত লেখান। আবু বকর (রা.) তাকে দিয়ে ওসীয়্যত লেখানো আরম্ভ করেন, কিন্তু খলীফা হিসেবে হযরত উমর (রা.)’র উল্লেখ করার পূর্বেই হঠাৎ তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন বা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। হযরত উসমান (রা.) যেহেতু পূর্বেই আবু বকর (রা.)’র অভিপ্রায় জানতেন, তাই নিজের পক্ষ থেকেই উমর বিন খাত্তাব (রা.)’র নাম খলীফা হিসেবে লিখেন। খানিক পরেই আবু বকর (রা.) সংজ্ঞা ফিরে পান এবং জানতে চান যে, উসমান কী লিখেছেন। হযরত উসমান (রা.) তাকে তা পড়ে শোনান; তিনি যেহেতু সদুদ্দেশ্যেই একাজ করেছিলেন এবং আবু বকর (রা.)’র অভিপ্রায়ও এটি-ই ছিল, তাই আবু বকর (রা.) আল্লাহ্‌র প্রশংসা করেন। এটিও বর্ণিত আছে যে, আবু বকর (রা.) এই ওসীয়্যতটি জনসমক্ষে ঘোষণা করান এবং জানতে চান, তারা সবাই এতে একমত কি-না? উপস্থিত সবাই এতে সম্মতি জানান। হযরত উমর (রা.)-কে খলীফা মনোনীত করার পর হযরত আবু বকর (রা.) তাকে ডাকেন এবং বেশকিছু উপদেশও প্রদান করেন; তন্মধ্যে কঠোরতার সাথে নম্রতা এবং নম্রতার সাথে কঠোরতা অর্থাৎ ভারসাম্যপূর্ণ বিচারের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি (রা.) মৃত্যুর পূর্বে খলীফা হিসেবে তার কর্তৃত্বাধীন যাবতীয় সম্পদ হযরত উমর (রা.)’র হাতে সমর্পণ করেন; হযরত উমর (রা.) বলেছিলেন, আবু বকর (রা.) তার ওপর অত্যন্ত কঠিন ও গুরুভার অর্পণ করেছেন। খলীফা হওয়ার পর একবার কেউ হযরত উমর (রা.)-কে প্রশ্ন করেন, ইসলামের পূর্বে আপনার মাঝে যে রাগ ও ক্রোধ দেখা যেত, এখন আর তা দেখা যায় না; এর কারণ কী? হযরত উমর (রা.) উত্তরে বলেন, সেই রাগ এখনও রয়েছে, কিন্তু এখন তা কাফিরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ পায়; আরেক বর্ণনামতে তিনি বলেন, রাগ আগের মতই রয়েছে, পার্থক্য হল- আগে ভুল স্থানে প্রয়োগ হতো, এখন সঠিক স্থানে প্রয়োগ করা হয়।

হযরত উমর (রা.) খলীফা হওয়ার পর প্রথম যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সে সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে; হুযূর (আই.) তন্মধ্যে কিছু বর্ণনা উদ্ধৃত করেন। হযরত উমর (রা.) প্রথম ভাষণে বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’লা তোমাদের মাধ্যমে আমার এবং আমার মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন; অর্থাৎ খলীফা হওয়াকে তিনি নিজের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা জ্ঞান করছিলেন, আর অন্যদের জন্য তার প্রতি আনুগত্যের দায়িত্ব পালনকেও তাদের জন্য এক পরীক্ষা মনে করছিলেন। সবাই যে তার কঠোর প্রকৃতি নিয়ে শংকিত ছিল- সে বিষয়েও তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন যে, ইতোপূর্বে তার কঠোরতার কারণ ছিল মহানবী (সা.) ও হযরত আবু বকর (রা.)’র দয়া ও নম্রতা; এখন যেহেতু তাঁরা নেই এবং উমর (রা.) নিজেই খলীফা- তাই তার মাঝে আর সেই কঠোরতা নেই। অবশ্য শত্রুদের এবং অপরাধীদের প্রতি তার কঠোরতা অবিচল থাকবে। তার সামনে যেসব বিষয় উত্থাপিত হবে সেগুলোর তিনি সুচিন্তিত সমাধান করবেন, দূরবর্তী বিষয়গুলোও তিনি যোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমাধা করাবেন। তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি পুণ্যকর্ম করবে তাকে তার প্রাপ্যের চেয়ে অধিক পুরস্কৃত করা হবে, কিন্তু যে দুষ্কর্ম করবে তাকে কেবল সেটুকুরই শাস্তি দেয়া হবে। হযরত উমর (রা.) এই দোয়াও করেছিলেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি শাদীদুন ফালায়্যিনী ওয়া যায়িফুন ফাকাওয়্যিনী ওয়া বাখিলুন ফাসাখ্‌খিনী’ অর্থাৎ ‘হে আমার আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি কঠোর, তুমি আমাকে নম্র বানিয়ে দাও; আর আমি দুর্বল, তুমি আমাকে শক্তিশালী বানিয়ে দাও; আর আমি কৃপণ, তুমি আমাকে দানশীল বানিয়ে দাও।

হযরত উমর (রা.)’র খিলাফতকালের উল্লেখ করতে গিয়ে হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) কুরআন শরীফের সূরা নিসার ৫৯নং আয়াতের উল্লেখ করেন যেখানে আল্লাহ্ তা’লা মু’মিনদেরকে দায়িত্বভার ও কর্তৃত্ব উপযুক্ত ও যোগ্য লোকদের হাতে অর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত উমর (রা.) এই বিষয়ে এতটা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে, তা দেখে হতবাক হতে হয়। প্রাচ্যবিদরা ন্যায়পরায়ণতার মূর্ত প্রতীক মহানবী (সা.) সম্পর্কে চরম ধৃষ্টতার সাথে অন্যায় অপবাদ দেয় যে, তিনি (সা.) নাকি দায়িত্ব অর্পণ করার ক্ষেত্রে সততার পরিচয় দেন নি (নাউযুবিল্লাহ্); অথচ তারা-ই হযরত আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.) সম্পর্কে স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, তাদের মত ন্যায়পরায়ণতা পৃথিবীর অন্য কোন শাসক দেখাতে পারে নি। তারা বিশেষভাবে হযরত উমর (রা.)’র শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করে। অথচ তারা কতটা অর্বাচীন যে, একথা বুঝতে পারে না, হযরত উমর (রা.) এই শিক্ষা তার মনীব ও অভিভাবক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছ থেকেই লাভ করেছিলেন এবং তাঁর অনুসরণ ও অনুকরণেই এরূপ করতেন। এতটা ন্যায়পরায়ণতা সত্ত্বেও যখন তিনি এক দুষ্কৃতকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যুশয্যায়, তখনও ব্যাকুলচিত্তে এই দোয়া করছিলেন- ‘আল্লাহুম্মা- লা আলাইয়্যা ওয়ালা লী’; হে আমার আল্লাহ্! তুমি আমাকে কর্তৃত্ব ও শাসনভার দিয়েছিলে; জানি না সেই দায়িত্ব কতটা সুচারুরূপে পালন করতে পেরেছি। জীবনের অন্তিম লগ্নে তোমার কাছে প্রার্থনা শুধু এটুকুই- আমার সৎকর্মের কোন প্রতিদান বা পুরস্কার আমি চাই না; কেবল নিজ কৃপায় আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং যদি আমার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সামান্য কোন ত্রুটিও হয়ে থাকে, তবে তা ক্ষমা করে দাও।

আহলে বাইতের প্রতি হযরত উমর (রা.)’র বিশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসারও কতিপয় ঘটনা হুযূর (আই.) তুলে ধরেন। হযরত উমর (রা.)’র যুগে ইরান-জয়ের পর সেখান থেকে আটা ভাঙানোর উইন্ডমিল আনা হয়। সেটি দিয়ে ভাঙানো সর্বপ্রথম আটা হযরত উমর (রা.) উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রা.)’র কাছে পাঠিয়ে দেন। মদীনার লোকজন ইতোপূর্বে কখনও এমন মিহি আটা দেখেন নি, তাই মদীনার মহিলারা সবাই হযরত আয়েশা (রা.)’র বাড়িতে ভিড় করে যে, এই আটার রুটি খেয়ে তিনি কী বলেন। কিন্তু হযরত আয়েশা (রা.) এক টুকরো মুখে দিতেই তাঁর দু’চোখ বেয়ে টপটপ করে অশ্রু ঝরতে শুরু করে। সবাই বিস্মিত হয়ে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি (রা.) বলেন, মহানবী (সা.)-এর কথা তাঁর মনে পড়ে গিয়েছে, যিনি জীবনের অন্তিম দিনগুলোতে যখন শক্ত খাবার খেতে পারছিলেন না, তখনও পাথরে পেষা শক্ত রুটি খেয়েই পার করেছেন। হযরত আয়েশা (রা.)’র গলা দিয়ে সেই রুটি আর নামে নি এবং তিনি এই সামান্য স্বাচ্ছন্দ্যও উপভোগে অপারগতা জানান।

মিদিয়ান জয়ের পর হযরত উমর (রা.) সব যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ সাহাবীদের মাঝে বন্টনের জন্য চাটাইয়ের ওপর জড়ো করেন; সবার আগে তিনি হযরত হাসান ও হুসায়ন (রা.)-কে তাঁদের অংশ প্রদান করেন এবং দু’জনকেই একহাজার দিরহাম করে প্রদান করেন। এরপর যখন তার নিজের পুত্র আব্দুল্লাহ্ আসেন, তখন তাকে পাঁচশ’ দিরহাম প্রদান করেন। আব্দুল্লাহ্ বিন উমর (রা.) নিবেদন করেন, তিনি তো সেই সময়ও মহানবী (সা.)-এর সামনে থেকে যুদ্ধ করেছেন, যখন হাসান-হুসায়ন (রা.) নিতান্ত বালক ছিলেন এবং খেলাধূলায় মগ্ন থাকতেন; তাহলে তিনি কীভাবে তাদের তুলনায় অর্ধেক পেতে পারেন? হযরত উমর (রা.) তাকে বুঝিয়ে বলেন যে, তাঁরা দু’ভাই মহানবী (সা.)-এর দৌহিত্র এবং অসাধারণ আত্মত্যাগকারী পিতা-মাতার সন্তান, এজন্য এটি তাঁদের প্রাপ্য। এই ঘটনা থেকেও আহলে বাইতের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দিকটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। হুযূর (আই.) বলেন, হযরত উমর (রা.)’র স্মৃতিচারণ পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকবে।

খুতবার শেষদিকে হুযূর সম্প্রতি প্রয়াত জামাতের কতিপয় নিষ্ঠাবান সদস্যের গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষণা দেন এবং তাদের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন। তাদের মধ্যে প্রথমজন হলেন, দরবেশ চৌধুরী ফয়েয আহমদ সাহেবের সহধর্মিণী সুহায়লা মাহবুব সাহেবা; তার পিতা আহমদী ছিলেন না, কিন্তু তার মা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আহমদীয়াত গ্রহণ করেন ও এতে অবিচল থাকেন। মরহুমা জামাতের সেবায় জীবনোৎসর্গ করেন এবং প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ নুসরাত জাহাঁ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে সেবা করার সৌভাগ্য লাভ করেন। দ্বিতীয় জানাযা মুরব্বী সিলসিলাহ্ জনাব রাজা খুরশীদ আহমদ মুনীর সাহেবের, যিনি পাকিস্তানের আযাদ কাশ্মীরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্তরিক সেবা প্রদান করেছেন। তিনি অত্যন্ত নির্ভিকচিত্ত ও সাহসী ব্যক্তি ছিলেন, খলীফাতুল মসীহ্ সালেস (রাহে.)ও তার সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তৃতীয় জানাযা হল, যমীর আহমদ নাদীম সাহেবের; তিনিও জামাতের মুরব্বী হিসেবে অসাধারণ সেবা করেছেন। চতুর্থ জানাযা তানজানিয়ার জনাব ঈসা মুয়াকিতিলিমা সাহেবের, যিনি এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম নেয়া সত্ত্বেও সত্য-সন্ধিৎসু হৃদয়ের কারণে ইসলাম ও পরবর্তীতে আহমদীয়াত গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেন। পঞ্চম জানাযা ভারতের ওড়িশার জনাব শেখ মোবাশ্বের আহমদ সাহেবের, যিনি কাদিয়ানের নির্মাণকাজ বিভাগে অসাধারণ সেবা করেছেন; সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ষষ্ঠ জানাযা জামাতের আরেকজন নিষ্ঠাবান সেবক সাইফ আলী শাহেদ সাহেবের, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। সপ্তম জানাযা জনাব রশীদ আহমদ হায়াত সাহেবের পুত্র জনাব মাসুদ আহমদ হায়াত সাহেবের, যিনি জীবনে দু’বার হজ্জ্বব্রত পালনের সৌভাগ্য লাভ করেন। জামাতের অন্যান্য সেবার পাশাপাশি তিনি খলীফাতুল মসীহ্ রাবে (রাহে.)’র ড্রাইভার ও নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালনেরও সৌভাগ্য লাভ করেন। হুযূর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা প্রয়াতদের সবার প্রতি ক্ষমা ও কৃপা প্রদর্শন করুন, তাদের সন্তানদেরও আহমদীয়াতের সাথে সম্পৃক্ত রাখুন ও তাদের জন্য তারা যে দোয়া করে গিয়েছেন- তা যেন আল্লাহ্ কবুল করেন। (আমীন)