কুরআন শরীফের আরেক স্থলে নিজের একত্ববাদ ও সার্বভৌমত্ব তিনি নিজেই ঘোষণা করে বলেছেনঃ
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ أَنَّى يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ وَلَمْ تَكُن لَّهُ صَاحِبَةٌ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ وهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ*
ذَلِكُمُ اللّهُ رَبُّكُمْ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ*
لاَّ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ*
“আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর তিনিই আদি-স্রষ্টা। যেক্ষেত্রে তাঁর কোন স্ত্রী-ই নাই, সেক্ষেত্রে তাঁর সন্তান হয় কীভাবে? আর তিনিই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রত্যেক বস্তু সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞাত। এই হলেন তোমাদের প্রতিপালক-প্রভূ আল্লাহ্। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই, প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা তিনি। অতএব তোমরা তাঁর উপাসনা কর। এবং তিনি প্রত্যেক বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক। দৃষ্টি তাঁর নাগাল পেতে পারে না কিন্তু তিনি দৃষ্টির মাঝে ধরা দেন। তিনি সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ, সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।” (সূরা আনআমঃ ১০২-১০৪)
সমস্ত গুণের আধার মহান আল্লাহ্ সূরা হাশরের শেষভাগে নিজ গুণাবলী সম্পর্কে নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেনঃ
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ *
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ *
هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ *
“তিনিই আল্লাহ্ যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সকল বিষয়ে পরিজ্ঞাত। তিনি অযাচিত অসীম দানকারী, পরম দয়াময়। তিনিই আল্লাহ্ যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি সর্বাধিপতি, অতিব পবিত্র, সমস্ত শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, পূর্ণ নিরাপত্তাদাতা, সর্বোত্তম রক্ষাকর্তা, মহা পরাক্রমশালী, প্রবল-প্রতিবিধায়ক, অতিব গরিয়ান। তারা যা শিরক করে আল্লাহ্ তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ্ যিনি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, আদি সুনিপূন স্রষ্টা, সর্বোত্তম আকৃতিদাতা, সমস্ত সুন্দর নাম একমাত্র তাঁরই। আকাশ এবং পৃথিবীতে যা-ই আছে সবই তাঁর গুণ ও পবিত্রতা ঘোষণা করছে। এবং তিনি মহা পরাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।” (সূরা হাশরঃ ২৩-২৫)
অতএব আল্লাহ্ তা’লাকে তাঁরই বর্ণিত পবিত্র গুণাবলী ও এসবের বিকাশের মাধ্যমে চেনা যায়। মানব স্বভাবে যেসব গুণাবলী প্রথিত আছে এগুলো মহান আল্লাহ্র গুণাবলীরই কিঞ্চিত প্রতিফলন। এসব গুন যে স্বর্গীয় বা ঐশী গুণাবলীর প্রতিবিম্ব মানবাত্মা একথার সাক্ষ্য দেয় ও গভীরভাবে অনুভব করে।
আদম সন্তানের মধ্যে মহান আল্লাহ্ তাঁর ঐশী গুণাবলীর ছিঁটেফোটা দান করেছেন যেন তারা এর মূল উৎসকে চিনতে পারে এবং সেই মহান ঐশী অস্তিত্বের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে।